প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'অদ্ভুত এক আবহাওয়া। ভরা বর্ষায়ও দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ বইছে। সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টি হলেও কমেনি ভ্যাপসা গরম। তাপমাত্রার পারদ লাফাতে লাফাতে ঠেকেছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাপপ্রবাহ বিস্তৃত হয়েছে ১৩ এলাকায়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি চলবে আরও দু'দিন।'
-গতকাল শনিবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই জুলাইয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশ দেখেছে ১৫ এপ্রিল- সেদিন পারদ উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
-গতকাল টাঙ্গাইল, সিলেট, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বগুড়া, তাড়াশ, রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, তেঁতুলিয়া, ডিমলা, রাজারহাট ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ২০১৪ ও ২০২১ সালের জুলাইয়েও তাপপ্রবাহ হয়েছিল। ওই দুই বছরের চেয়ে এবার তাপপ্রবাহ সবচেয়ে দীর্ঘ এবং বেশি এলাকায় বিস্তৃত।
'১৭ জুলাইয়ের পর বৃষ্টি বাড়ার প্রবণতার আভাস দিয়ে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার বলেন, এপ্রিল থেকে জুনের তাপপ্রবাহ বিরাজ করে সপ্তাহ খানেকের বেশি সময়। জুলাইয়ে 'হিটওয়েভ স্পেল' দু-তিন দিনের বেশি দেখা যায় না। এবার মৃদু তাপপ্রবাহ ৫ থেকে ৬ দিন হয়ে গেল। আরও দু-একদিন তা অব্যাহত থাকবে।'
ভরা বর্ষায়ও দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ কবলে দেশ
-এমন আবহাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, কয়েকটি কারণে এমন অস্বস্তিকর গরম। থার্মোমিটারে যা দেখাচ্ছে, তার চেয়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বলে অনুভব করছে মানুষ। জুলাইয়ের এ সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রয়েছে তাপমাত্রা। ওডিশা উপকূলে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং এর বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকায় তাপের তারতম্যও রয়েছে। বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকলেও তুুলনামূলক কম বৃষ্টি হয়েছে। টানা কয়েকদিন বিভিন্ন স্থানে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে বা মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কম রয়েছে।
তিনি বলেন, 'দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যকিরণ থাকে, কোথাও কোথাও বাতাসের গতিবেগও কম। সব মিলিয়ে বেশি আর্দ্রতায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। দু'দিন পর বৃষ্টির প্রবণতা বাড়লে এ অস্বস্তি কেটে যাবে।'